বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানে বন্যায় প্রাণহানি ৩০০ ছাড়িয়েছে: জাতিসংঘ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ মে, ২০২৪ ১৮:১৪

বাঘলানের পার্শ্ববর্তী তাখার প্রদেশেও অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম।

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির অন্তত এক হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি)।

শনিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, বাঘলানের পার্শ্ববর্তী তাখার প্রদেশেও অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম।

এক্স পোস্টে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আকস্মিক এ বন্যায় শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। আরও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। বন্যায় দেশটির বাদাখশান, বাঘলান, ঘোর এবং হেরাত প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে এ মুখপাত্র।

তিনি জানান, বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধার আহতের সরিয়ে নেয়া এবং মরদেহ উদ্ধারের জন্য দেশের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে তালেবান সরকার।

শুক্রবার বাঘলান প্রদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান হেদায়েতউল্লাহ হামদার্দ বলেন, এ প্রদেশের বাঘলান-ই-মারকাজি জেলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬০ বলে জানিয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া দুই শতাধিক মানুষ ঘরের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন।

কর্মকর্তা বলেছেন, প্রবল বর্ষণের কারণে শুক্রবার আকস্মিক এ বন্যা দেখা দেয়। বাসিন্দারা এ বন্যার জন্যে প্রস্তুত ছিল না।

বন্যার কারণে কাবুলের সঙ্গে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটি বন্ধ রয়েছে। প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি, তিনটি মসজিদ এবং চারটি স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হামদর্দ বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি এখনও ভালো না। আবারও বৃষ্টি হতে পারে। যারা বাড়িঘর হারিয়েছে তাদের তাঁবু, কম্বল ও খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা আফগানিস্তানে সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে। ফলে বৃষ্টির পানি মাটিতে শুষে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

এ বিভাগের আরো খবর