বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ মে, ২০২৪ ২০:৫৯

১৯৯৯ সাল থেকে টানা রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা পুতিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদ পূর্ণ করলে সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্টালিনকে ছাড়িয়ে রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শাসক হবেন।

টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার ক্রেমলিনে অনুষ্ঠিত এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো।

১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা পুতিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদ পূর্ণ করলে সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্টালিনকে ছাড়িয়ে রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শাসক হবেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে পুতিন বলেন, ‘মার্চে পুনঃনির্বাচনে আমার জয়ই রাশিয়ার জনগণের ঐক্যবদ্ধ থাকা ও দেশটির সঠিক পথে থাকার প্রমাণ।’

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা, রাশিয়ার জনগণই দেশ সঠিক পথে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যখন আমরা গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি তখন এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

‘আমার এই জয়ে আমাদের সাধারণ ঐতিহাসিক লক্ষ্যগুলোর গভীরতার উপলব্ধি, আমাদের পছন্দ, মূল্যবোধ, স্বাধীনতা ও রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থকে রক্ষা করার দৃঢ় সংকল্প দেখতে পাচ্ছি।’

৭১ বছর বয়সী পুতিন দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে একক আধিপত্য বজায় রেখেছেন। তার বিরোধী বেশিরভাগ নেতা কারাগারে বা নির্বাসনে রয়েছেন। তার সবচেয়ে কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত অ্যালেক্সেই নাভালনি ফেব্রুয়ারিতে আর্কটিক পেনাল কলোনিতে হঠাৎ মারা যান।

আন্তর্জাতিক পরিসরে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে পুতিনের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব বিরাজমান। পুতিনের দাবি, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে পরাজিত ও টুকরো টুকরো করার জন্য ইউক্রেইনকে ব্যবহার করছে।

শপথ নেয়ার পর রাশিয়ার রাজনীতির ক্ষেত্রে অভিজাত ব্যক্তিদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, ‘আমি পারমাণবিক অস্ত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করিনি।

‘তারা রাশিয়ার উন্নয়ন রোধের চেষ্টা, আগ্রাসনের নীতি ও বছরের পর বছর ধরে আমাদের ওপর অন্যায্য চাপ প্রয়োগ করার পন্থা অবলম্বন করবে নাকি সহযোগিতা ও শান্তির পথ খুঁজবে তা তাদের ওপর নির্ভর করছে।’

সবশেষ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে পুতিন বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধী দুই প্রার্থীকে কৌশলগত কারণে নিষিদ্ধ করা হয়। এই দুই প্রার্থীকে নিষিদ্ধ করার ঘটনাকে জালিয়াতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বিরোধীরা।

ইউক্রেন বলেছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি এমন একজন ব্যক্তির প্রায় আজীবন ক্ষমতায় থাকাকে বৈধতা দেয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছে যিনি রাশিয়ান ফেডারেশনকে একটি আগ্রাসী রাষ্ট্রে এবং শাসনব্যবস্থাকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর