বলিউড সুপার স্টার সালমান খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের একজন হাজতেই আত্মহত্যা করেছেন। অনুজ থাপন নামের ওই তরুণ বুধবার মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের লকআপে থাকা অবস্থায় হাজতের শৌচাগারে আত্মহত্যা করেন।
ভারতের মুম্বাই শহরের বান্দ্রা এলাকায় ১৪ এপ্রিল সকালে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে থেকে ভবন লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুই ব্যক্তি। এই অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন বলিউড সুপার স্টার সালমান খান। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় একাধিক ব্যক্তিকে। তাদের একজন ছিলেন ২৩ বছর বয়সী অনুজ থাপন।
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুম্বাই পুলিশ সদর দফতরে অবস্থিত ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসের লকআপে রাখা হয়েছিল। হাজতের শৌচাগারে বিছানার চাদর ব্যবহার করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ থাপন। তাকে দ্রুত জিটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অনুজ থাপনকে। এর আগে ১৬ এপ্রিল গুজরাটের ভুজ থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ। মুম্বাই পুলিশের বিশেষ টিম গুজরাটে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ভিকি গুপ্তা ও সাগর পাল নামের এই দুজন বিহারের বাসিন্দা। দক্ষ শুটার হিসেবে তাদের কুখ্যাতি রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সুরাতের তাপি নদী থেকে দুটি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১৭টি কার্তুজ উদ্ধার করে।
মুম্বাই পুলিশ জানায়, সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই গ্যাং ভারতের বাইরে কাজ করা দেশবিরোধীদের কাছ থেকে অর্থ বা অস্ত্রের আকারে কোনো ধরনের সাহায্য পাচ্ছে কি-না তাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে আহমেদাবাদের সবরমতি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। তার ছোট ভাই আনমোল এই মামলার প্রধান সন্দেহভাজন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং রোহিত গোদারা গ্যাংয়ের সঙ্গে সোমবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের মধ্যে একটি এনকাউন্টার হয়। হরিয়ানার নুহুতে এনকাউন্টার হয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের গ্যাংস্টার বিশাল ওরফে কালু এবং রবি মোতা পুলিশ দলের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলিবর্ষণে উভয় দুষ্কৃতকারী আহত অবস্থায় দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।