মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে সহিংসতা কমানোর বার্তা দেয়া হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী দেশ থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা।
তিনি বলেছেন, বিদ্রোহীরা সীমান্তবর্তী একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের শঙ্কায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থবির হয়ে থাকা পাঁচ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) দেশগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পার্নপ্রি।
মিয়ানমারের মিয়াওয়াদ্দি শহরের সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের মাই সট এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড শান্তি ও সংলাপ দেখতে চায়।’
মিয়ানমারের কারেন জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা মিয়াওয়াদ্দি শহর থেকে দেশটির সেনাবাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পানপ্রি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের কারেণে সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প পথে বাণিজ্যের বিষয়ে ভাবছে থাইল্যান্ড।
সামরিক জান্তার অনুগত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বিমান হামলার ভয়ে শুক্রবার থাইল্যান্ড যেতে সীমান্ত ক্রসিংয়ে ভিড় বাড়ছে মিয়ানমারের নাগরিকদের।
গরমের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা মিয়াওয়াদ্দির বাসিন্দা মো মো থেট বলেন, ‘আমি বিমান হামলার ভয়ে আছি।’ সীমান্তে পাঁচ বছর বয়সী ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আসেন এ নারী।