নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজ দেশের কূটনীতিকদের ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ায় কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলার উদ্বেগের মধ্যে দেশটি এ সতর্কতা জারি করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হন। ওই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান।
ইসরায়েল এ হামলায় দায় স্বীকার না করলেও এর জবাব দেয়া হবে বলে তেহরানের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ যেন পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই ইরানের কনস্যুলেটে হামলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তেল আবিব, জেরুজালেম এবং বির শেভা এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
গত রোববার ইরানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েলের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।’ কোনো একটি কনস্যুলেট ভবনকে হামলার টার্গেট করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়েভ গালান্টও একই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালাতে পারে ইরান।’
এদিকে বৃহস্পতিবার ভ্রমণ সতর্কতা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘কী কারণে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো, তা সুনির্দিষ্ট করে প্রকাশ করা হবে না, তবে অবশ্যই আমরা মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে ইসরায়েল যে হুমকিতে আছে, তার ওপর নজর রেখেছি।’