মিসরের রাজধানী কায়রোয় গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ওই আলোচনা শেষে মঙ্গলবার হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনী বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে।
আর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়ুভ গ্যালান্ট বলেছেন, এখনই চুক্তি করার সময়।
তিনি মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনা নিয়োগকারীদের বলেছেন, আমি মনে করি হামাসের সাথে চুক্তির জন্যে আমরা একটি যথাযথ সময়ে আছি।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাসের মধ্যকার যুদ্ধের মেয়াদ প্রায় সাত মাস হতে চলল। যুদ্ধ বন্ধ ও চুক্তিতে সম্মত হতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও চাচ্ছে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হোক এবং গাজার দক্ষিণে রাফায় কোানো অভিযান না চালাক।
যুদ্ধবিরতির আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, হামাস প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে। প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের কাছে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ৯ শ ফিলিস্তিনী বন্দিকে ছেড়ে দেয়ার বিষয় রয়েছে।
এদিকে আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে সৈন্য পাঠানোর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর পরই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এ অভিযান ফিলিস্তিনী বেসামরিক নাগরিক এবং শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের নিরাপত্তার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
এছাড়া ফ্রান্স, মিসর ও জর্ডান এ অভিযান নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। একইসঙ্গে এই তিন দেশের নেতা গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ব্যাপকভাবে বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার শাসক দল হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের হাতে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছে।
ওই হামলার পপর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। সূত্র: বাসস