ভারতে এক নারী কনস্টেবলকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করায় কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এক যুবককে।
নিম্ন আদালতে তিন মাসের সাজা দেয়া হয়েছিল তাকে, সর্বশেষ রোববার তার সাজা কমিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সার্কিট বেঞ্চে তার এক মাসের সাজা হয়।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, অচেনা নারীকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করা অপমানজনক, মামলায় এমনটাই মন্তব্য করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ডার্লিং’ শব্দে যৌন ইঙ্গিত রয়েছে। তাই ওই শব্দ ব্যবহারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ওই শব্দের ব্যবহারকারীকে সাজা দেয় আদালত।
মূল ঘটনাটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের। ওই যুবক এক নারী কনস্টেবলের উদ্দেশে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন এক কনস্টেবল।
ওই যুবক নারী কনস্টেবলের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘কী ডার্লিং, চালান করতে এসেছো নাকি?’ কনস্টেবল এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
নারীর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে নিম্ন আদালত যুবককে তিন মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানান অভিযুক্ত। সেই মামলাই পোর্ট ব্লেয়ারে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে ওঠে।
বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, নারী কনস্টেবলের প্রতি যুবকের মন্তব্যে যৌন ইঙ্গিত ছিল। যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। সেটি একটি উৎসবের রাত ছিল। যে অর্থে তিনি ‘ডার্লিং’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তা যে কোনো নারীর কাছে অসম্মানের।