রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে অনুষ্ঠিত ইরানের পার্লামেন্ট ও ধর্মীয় পরিষদ নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন রক্ষণশীল প্রার্থীরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পার্লামেন্টের ২৯০ জন আইনপ্রণেতা ও বিশেষজ্ঞদের পরিষদের (সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনের জন্য ইসলামি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ) ৮৮ সদস্য নির্বাচনে গত শুক্রবার ভোট হয় ইরানজুড়ে। সে নির্বাচনে পড়া লাখ লাখ ভোট গণনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে শনিবার প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক ফল অনুযায়ী, ৩০ প্রতিনিধির তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন অতি রক্ষণশীল মাহমুদ নবভিয়ান ও হামিদ রেজায়ি। তাদের পরের অবস্থানে আছেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উপস্থাপক থেকে প্রথমবারের মতো আইনপ্রণেতা হওয়া ৩৫ বছর বয়সী আমির হোসেইন সাবেতি।
নির্বাচনের ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার সমর্থিত অল্প কয়েকজন প্রার্থী জয়ী হতে পেরেছেন।
অন্যদিকে শিয়াদের পবিত্র শহর কোমের একটি আসন পেয়েছেন দীর্ঘদিনের আইনপ্রণেতা মোজতাবা জোন্নুর।
এবারের নির্বাচনে অল্প কিছু সংস্কারপন্থি বা মধ্যমপন্থি পার্লামেন্টে যাওয়া নিশ্চিত করেছেন। ইরানে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন, যেখানে বড় পরিসরে উপস্থিতি নেই সংস্কারপন্থি বা মধ্যমপন্থিদের।
স্বল্পসংখ্যক মধ্যমপন্থির মধ্যে রয়েছেন বর্ষীয়ান আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান, যিনি সাংবিধানিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা অভিভাবক পরিষদের সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ইরানের ১২তম পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।