ইসরায়েলি হামলা মোকাবিলা করতে নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান সকল বৈরিতা ভুলে এক পতাকার নিচে আসার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের ছোটবড় সব রাজনৈতিক দল। রাশিয়ায় আয়োজিত এক সম্মেলনে হাত মেলানোর ঘোষণা দেয় উপত্যকার প্রধান দুই রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহ। এরপর ছোট দলগুলোও তাদের ঐক্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলকে মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে নিজেদের মধ্যেকার বিভেদ ভুলে এক হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয় হামাস, ইসলামিক জিহাদ, ফাতাহ ও অন্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ঐক্যের সিদ্ধান্তের পর চলমান যুদ্ধে ইসরাইলকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় এবং যুদ্ধের পর তাদের কর্মপরিকল্পনা কী হবে- তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করে গোষ্ঠীগুলো।
ফিলিস্তিনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর মোহাম্মদ শাতায়েহর দেশের সব গোষ্ঠীর উদ্দেশে ঐক্যের ডাক দেন। এরপরই মস্কোতে মিলিত হয় সব দলের নেতা ও তাদের প্রতিনিধিরা।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনা সভায় হামাস, ফাতাহসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর নেতারা। ছবি: রয়টার্স
ঐক্যের পর মস্কো থেকে দেয়া এক বার্তায় তারা বলে, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) অধীনে আবারও একই ব্যানারের নিচে আসছে সবাই। সবগুলো পক্ষই এবার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ঐক্যমত্য প্রকাশ করেছে।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো। তবে পিএলও সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় তারা।
এর আগেও হামাস ও পিএলওকে একসঙ্গে আনার নানা চেষ্টা পূর্ণতার মুখ দেখেনি। অবশেষে রাশিয়ার উদ্যোগে এই চেষ্টা সফল হলো।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফাতাহ ও হামাসসহ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সবগুলো পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া। অন্যদিকে ইসরাইলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
প্রথম থেকেই গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে মস্কো। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তারা।
ইসরাইলের হামলা থামাতে জাতিসংঘে প্রস্তাবও উত্থাপন করেছিল রাশিয়া।