রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।
একটি কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ৪৭ বয়সী এই নেতা শুক্রবার হাঁটাহাঁটির সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
নাভালনির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে স্থানীয় কারা কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কট্টরতম সমালোচক’ হিসেবে পরিচিত নাভালনির বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অন্যান্য অভিযোগে হওয়া মামলয় গত বছরের আগস্টে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় রাশিয়ার আদালত। তিনি বন্দি ছিলেন ২০২১ সাল থেকে।
নাভালনি ও তার সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভুয়া বলে দাবি করে আসছেন। তার রাজনৈতিক আন্দোলনকে চরমপন্থি হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, নাভালনিকে গতবছরের শেষ দিকে রাশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের আর্কটিক পেনাল কলোনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কারাগারেই ছিলেন তিনি।
রাশিয়ার প্রধান বিরোধী দল রাশিয়া অফ দ্য ফিউচারের নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে ২০২০ সালের আগস্টে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
নির্বাচনি প্রচার শেষে অভ্যন্তরীণ একটি ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কো ফিরছিলেন নাভালনি। মাঝ আকাশে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ওমস্ক শহরে বিমানের জরুরি অবতরণ করিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। কোমায় চলে যাওয়া নাভালনিকে রাখা হয় আইসিইউতে।
তবে সেখানে সঠিক চিকিৎসা পাবেন না এমন আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে জার্মানিতে চিকিৎসা নেন নাভালনি। কয়েকটি মামলা থাকায় ক্রেমলিনের অনুমতি নিয়ে বার্লিনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
জার্মান চিকিৎসকেরা জানান, নাভালনির ওপরে নভিচক নামে স্নায়ু বিকল করার বিষাক্ত এক রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় পুতিন সরকার জড়িত বলে দাবি করে আসছে নাভালনির দল ও পরিবার।