গাজা সিটির দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহর থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে তার স্বজনরা। শিশুটি ১২ দিন আগে ইসরায়েলি হামলায় আটকা পড়ে গাজার উদ্ধারকারীদের কাছে সাহায্য পাঠাতে অনুরোধ করেছিল।
তেল এল-হাওয়া শহরে শনিবার ছয় বছর বয়সী হিন্দ রাজাবের পরিবারের পাঁচ সদস্য ও দুইজন উদ্ধারকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ফিলিস্তিনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ওয়াফা।
জানুয়ারির শেষে হিন্দ রাজাব পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ গাজা থেকে পালিয়ে তেল এল-হাওয়া যাচ্ছিল। পথে তাদের গাড়িটি ইসরায়েলের ট্যাংকের মুখে পড়লে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ওই সময় হিন্দ গাড়িতে বসেই ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) জরুরি নম্বরে ফোন দিয়ে তাকে বাঁচাতে বলে।
পিআরসিএসের প্রকাশিত কলের রেকর্ডিংয়ে হিন্দকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে নিয়ে যাও। তোমরা কি আমাকে নিয়ে যাবে? আমি খুব ভয় পাচ্ছি, দয়া করে আমাকে নিয়ে যাও!’ এরপর দ্রুতই ফোনটি কেটে যায়।
পিআরসিএসের সদস্যরা জানান, তখনও সেখানে অনেক গোলাগুলির শব্দ হচ্ছিল।
এরপরই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুজন ক্রু তাদের উদ্ধার করতে যান, কিন্তু এরপর থেকে তাদেরও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।
ওই ঘটনার ১২ দিন পর শনিবার পিআরসিএস জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে হিন্দ ও তার পাঁচজন স্বজন এবং রেড ক্রিসেন্টের দুই ক্রুর মরদেহ পাওয়া গেছে। হিন্দের সঙ্গে তার চাচা-চাচি আর তিন চাচাত ভাই-বোনের মরদেহ গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
পিআরসিএসের দাবি, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দ রাজাবকে উদ্ধারের জন্য পাঠানো অ্যাম্বুলেন্সটিকে লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ করেছে। যদিও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় কোনো সাড়া দেয়নি।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটির একটি ছবি প্রকাশ করেছে। অ্যাম্বুলেন্সটি হিন্দদের গাড়ি থেকে মাত্র কয়েক ধাপ দূরে ছিল।