ইমরান খানকে জেলে ভরে স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছিল। দলের (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) ব্যানারে তার সহকর্মীদের করতে দেয়া হয়নি নির্বাচন। বিখ্যাত দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাটও ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি তাদের। এরপরও বিতর্কিত নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থানে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নেয়া ইমরানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থীরা।
পাকিস্তানে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে উল্লিখিত কথাগুলো বলা হয়েছে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে, যেটি রোববার প্রকাশ করে এনডিটিভি।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এরই মধ্যে ভোট হওয়া ২৬৫টি আসনের ১০০টিতে জয়ী হয়েছেন। এ প্রার্থীদের বেশির ভাগ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান-খান সমর্থিত।
এতে বলা হয়, নির্বাচনে ১২টি আসনের ফল এখনও প্রকাশ হয়নি। প্রকাশিত আসনগুলোর মধ্যে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ তথা পিএমএল-এন ৭১টি ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসনে জয়ী হয়।
ব্লুমবার্গের খবরে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পারফরম্যান্স পাকিস্তানের ১২ কোটি ৯০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা বহাল থাকার ইঙ্গিত। এ ভোটারদের অনেকেই পাকিস্তানে চলমান মূল্যস্ফীতির সঙ্গে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।
নির্বাচনের ফলে নওয়াজ শরিফ ও ভুট্টো পরিবার নিয়ন্ত্রিত পাকিস্তানের বিদ্যমান রাজনীতির ওপর জনগণের মোহভঙ্গের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক অলাভজনক জননীতিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের পররাষ্ট্রনীতি ফেলো মাদিহা আফজাল ব্লুমবার্গকে বলেন, নির্বাচনের আগে সব ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েও পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন, যেটি পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের এ ফল পাকিস্তানের তরুণ, মধ্যবিত্ত জনগণের মধ্যে ইমরান খানের জনপ্রিয়তার প্রতিফলন।