জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন বৃহস্পতিবার পাকিস্তানজুড়ে মোবাইল ফোন সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে বুধবার জোড়া বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত ও অনেকে আহত হন। এমন পরিস্থিতিতে ২৪ কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষের দেশটিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, ‘অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি’ বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে মোবাইল সেবা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাম্প্রতিক স্ফীতি মূল্যবান প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, যা দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। এ কারণে নিরাপত্তা হুমকি থেকে দেশকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার হয়ে পড়েছে।
এদিকে মোবাইল সেবা বন্ধকে ভোট জালিয়াতির শুরু হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাবেক সিনেটর মুস্তাফা নওয়াজ খোখার।
তার ভাষ্য, এবারের নির্বাচনের আগের পরিবেশ ছিল পাকিস্তানের ইতিহাসের অন্যতম বাজে। নির্বাচনের দিন এজেন্ট ও কর্মীদের সঙ্গে প্রার্থীদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া অগ্রহণযোগ্য।
জঙ্গি হামলার বাড়বাড়ন্ত, অর্থনৈতিক সংকট ও গভীর রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, যাতে স্পষ্ট কোনো বিজয়ী পাওয়া নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেছেন অনেক বিশ্লেষক।
এ নির্বাচনে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিগত নির্বাচনে জয়ী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থীদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।