মালয়েশিয়ায় ডিটেনশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেছে শতাধিক রোহিঙ্গা অভিবাসী।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে পেরাক রাজ্যের একটি কেন্দ্র থেকে ১৩১ জন বন্দি পালিয়ে যান, যাদের মধ্যে ১১৫ জন রোহিঙ্গা ও বাকিরা মিয়ানমারের অন্যানা্য গোষ্ঠীর সদস্য বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
শুক্রবার মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
দুই বছরের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল। এর আগে ২০২২ সালে উত্তরাঞ্চলীয় পেনাং রাজ্যে বিক্ষোভ করে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে যান ৫২৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ১৩১ জন বন্দি পালিয়ে গেছেন। তাদের খুঁজে বের করতে প্রায় ৪০০ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ নাঈম আসনাওয়িকে উদ্ধৃত করে জাতীয় বারনামা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কেন্দ্রে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর অভিবাসীরা পুরুষ ব্লক থেকে পালিয়ে যাযন। সন্দেহভাজনদের মধ্যে ১১৫ জন রোহিঙ্গা এবং ১৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন, যাদের সবাই পুরুষ।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে প্রায়ই আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। এদের মধ্যে বড় একটি অংশ এখন বাংলাদেশে ঢুকে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় বাস করছে।