ভারতের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার রাতে দুর্নীতি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদেন বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) পার্টির এই নেতা। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
হেমন্তের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালত আবেদন গ্রহণ করেছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হবে।
অন্যদিকে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন রাঁচী হাই কোর্টকে এড়িয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন হেমন্ত। তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সবাইক কি সুপ্রিম কোর্টে আসছেন?’
গত কয়েক মাস ধরেই হেমন্তকে জমি জালিয়াতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে বার বার নোটিস পাঠাচ্ছিল ইডি। এই মামলায় এর আগে সিবিআই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ইডিকে হেমন্ত কোনো সাড়া দেননি।
২৯ জানুয়ারি তার দিল্লির বাসভবনেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাকে না পেয়ে একটি বিলাসবহুল বাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা।
প্রায় ৩০ ঘণ্টা ‘নিখোঁজ’ থাকার পর বুধবার সকালে রাঁচীতে নিজের বাড়ির সামনে দেখা যায় হেমন্তকে। এর পরই তার বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা। প্রায় ৮ ঘণ্টা ইডি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়ে রাতে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন হেমন্ত। তার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর পর রাজ্যের ক্ষমতাসীন জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের পক্ষে রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার দাবি জানান হেমন্তের ঘনিষ্ঠ চম্পাই সোরেন। তাকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইছে দল।