বিশ্বের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী রাষ্ট্রনেতা ভ্লাদিমির পুতিন। প্রায় দুই যুগ রাশিয়াকে এক হাতে শাসন করে চলেছেন এই লৌহমানব। বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর এই রাজনীতিক ব্যক্তিগত সম্পদের দিক দিয়েও অন্য অনেককে ছাড়িয়ে গেছেন।
ধারণা করা হয়, পুতিনের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার। এসব সম্পদের প্রকৃত তথ্য অবশ্য কখনোই প্রকাশ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল বিজনেস ম্যাগাজিন ফরচুনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পুতিনের ব্যক্তিগত সম্পদের মোট মূল্য বর্তমানে ২০০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যদিও সম্পদের পরিমাণের বিষয়ে পুতিন জানিয়েছেন, বার্ষিক বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার, একটি ৮০০ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট, একটি ট্রেলার ও তিনটি গাড়ির মালিকানা রয়েছে তার।
পুতিন ছাড়াও বিশ্বের শীর্ষ ধনী রাজনীতিবিদদের তালিকায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ মিখাইল ব্লুমবার্গ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ব্রুনাইয়ের সুলতান বলখিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজন।
ফরচুন বলছে, পুতিনের সম্পদের তালিকায় রয়েছে ১৯টি বাড়ি, ৭০০ গাড়ি, ৫৮টি বিমান, হেলিকপ্টার এবং ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের একটি ব্যক্তিগত বিমান।
পুতিনের কথিত সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে বিলাসবহুল হলো কৃষ্ণসাগর তীরের প্রাসাদ, যাকে ‘পুতিনের কান্ট্রি কটেজ’ নামে ডাকা হয়। এতে রয়েছে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত গ্রিক দেবতাদের মূর্তি দিয়ে সজ্জিত একটি মার্বেল সুইমিং পুল, একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার, একটি অত্যাধুনিক আইস হকি রিংক, একটি ভেগাস-স্টাইলের ক্যাসিনো এবং একটি নৈশক্লাব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রাসাদের অভ্যন্তরে রয়েছে ৫ লাখ ডলার মূল্যের ডাইনিং রুমের আসবাবপত্র, ৫৪ হাজার ডলার মূল্যের একটি বার টেবিল। তার বাথরুমে ৮৫০ ডলার মূল্যের ইতালিয়ার টয়লেট ব্র্যাশ এবং ১ হাজার ২৫০ ডলার মূল্যের টয়লেট পেপার হোল্ডার।
ম্যাগাজিনের দেয়া তথ্য বলছে, অট্টালিকাটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৪০ জন কর্মী ও বার্ষিক ২০ লাখ ডলার খরচ হয়। প্রেসিডেন্ট পুতিনের শেহেরজাদ নামের ৭০ কোটি ডলার মূল্যের মেগা ইয়ট তার কথিত সম্পদের পরিমাণ নিয়ে জল্পনাকে উসকে দেয়। তেমনি পুতিনের সংগ্রহে থাকা উচ্চমূল্যের সব ঘড়ির কথাও শোনা যায়। বলা হয়, শুধু তার ঘড়িগুলোর দামই সরকারিভাবে ঘোষিত বার্ষিক বেতনের চেয়ে অনেক বেশি।