আমেরিকান লেখিকা ও সাংবাদিক ই. জিন ক্যারলের করা মানহানির মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা করেছেন ম্যানহাটনের বিচারক।
ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে ট্রাম্প খ্যাতি নষ্ট করেছেন—এমন অভিযোগে মামলা করেছিলেন ক্যারল। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিচারক উল্লিখিত রায় দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাঁচ দিন বিচারকাজ শেষে তিন ঘণ্টার কম সময়ে রায় প্রস্তুত করেন ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতের বিচারকরা।
মানহানির মামলায় লেখিকা ক্যারল কমপক্ষে এক কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। রায়ে এর চেয়ে অনেক বেশি জরিমানা করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে ক্যারলের করা মামলাটি হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে থাকা ট্রাম্পের জন্য একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে লড়তে চাওয়া রিপাবলিকান পার্টির দুই প্রার্থীর মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
মানহানির মামলার বিচারকাজে বেশির ভাগ সময় অংশ নেন সাবেক প্রেসিডেন্ট, তবে রায়ের সময় আদালতকক্ষে ছিলেন না তিনি।
রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেন, ‘আমাদের আইনি ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এটি আমেরিকা নয়।’
অন্যদিকে রায়ের পর উচ্ছ্বসিত ৮০ বছর বয়সী ক্যারল দুই আইনজীবীর হাতে হাত রেখে বের হন আদালতকক্ষ থেকে।