ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে এক শুনানিতে শুক্রবার আইসিজে এ নির্দেশ দেয় বলে রয়টার্স প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
একই সঙ্গে আদালত বেসামরিক নাগরিকদের সহায়তা করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। তবে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কিছু বলেনি আদালত।
গত ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে মামলা করেছিল। সেই মামলার শুনানি হলো এদিন।
আইসিজে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই তার সেনাদের গণহত্যা থেকে বিরত রাখতে ক্ষমতার মধ্যে সব ব্যবস্থা নিতে হবে, শাস্তি দিতে হবে এবং মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মামলাটি শুরু হওয়ার পর দুই দেশই সাক্ষ্য দেয়। সেখানে ইসরায়েল দক্ষিণ আফ্রিকার আনা অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এক্ষেত্রে আইসিজের রায় যদি ইসরায়েল না মানে, তাহলে আদালত তাদেরকে বাধ্য করতে পারবে না। কিন্তু এই ধরনের রায় রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ২৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতের বেশিরভাগই হলো নারী ও শিশু। এছাড়া, আহত মানুষের সংখ্যা সহস্রাধিক।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় এক হাজার ৩০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন। এদের প্রায় সবাই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। হামলাকারীরা সেদিন প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান।
ফিলিস্তিনিদেরকে জোরালোভাবে সমর্থন করে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা আদালতের কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৯টি বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করে। যার মাঝে ছিল, গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করা, যেটিকে ‘গণহত্যা’ বলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে গণহত্যার অভিযোগের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সত্যকে বিকৃত করেছে।
ইসরায়েল আরও বলেছে, তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে; এবং তারা হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়ছে, ফিলিস্তিনের বেসামরিক মানুষদের বিরুদ্ধে নয়।