ইন্দোনেশিয়ার মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে রোববার আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি থেকে এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে অগ্ন্যুৎপাতে কমপক্ষে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা জানায়, ডিসেম্বরে অগ্ন্যুৎপাতের পর ছয় সপ্তাহ বিরতি দিয়ে মারাপি আগ্নেয়গিরি আবার জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এখানে রোববার কমপক্ষে দু’দফা অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। জ্বালামুখ দিয়ে প্রবল বেগে বেরিয়ে আসা ছাইয়ের কুণ্ডলী চার হাজার ৩০০ ফুট উঁচুতে উঠেছে।
ইন্দোনেশিয়ার মারাপি আগ্নেয়গিরি আবারও জ্যান্ত হয়ে ওঠে রোববার। ছবি: সংগৃহীত
নদী এবং উপত্যকায় লাভাপ্রবাহের আশঙ্কা থাকায় অগ্নুৎপাত কেন্দ্রের সাড়ে চার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা।
অগ্ন্যুৎপাতে ঊর্ধ্বাকাশে উঠে যাওয়া লাভার কারণে ছাই-বৃষ্টির আশঙ্কা প্রবল। এ অবস্থায় আশপাশের বাসিন্দাদের শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রোববারের অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট ছাই আশপাশের বাড়ি, যানবাহন এবং স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার স্থাপন করা তাঁবুগুলো ঢেকে দিয়েছে।
সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি এই মারাপি। গত বছরের ডিসেম্বরে এখানে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। সে সময় জ্বালামুখ দিয়ে প্রবল বেগে বেরিয়ে আসা লাভা-ভষ্ম তিন কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠে যায়। ছাইয়ের মেঘে ঢেকে যায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আকাশ। সে সময় কমপক্ষে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে ইন্দোনেশিয়া ‘প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার’ জুড়ে রয়েছে। এ কারণে একাধিক টেকটোনিক প্লেটের উপরে উচ্চ ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের একটি এলাকা হয়ে আছে দেশটি।