মালদ্বীপে আরও পর্যটক পাঠানোর জন্য চীনকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজু।
এনডিটিভির বুধবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক বিতর্ক ও ভারতীয় পর্যটক কর্তৃক মালদ্বীপ ভ্রমণ বাতিলের ঘটনায় দেশটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ জোরদার করার জন্য চীনের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
চীনে মুইজুর পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশে মালদ্বীপ বিজনেস ফোরামে দেয়া ভাষণে চীনকে দ্বীপ রাষ্ট্রের ‘ঘনিষ্ঠ’ মিত্র বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘চীন আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে একটি। কোভিডের আগে চীন আমাদের (মালদ্বীপের) এক নম্বর বাজার ছিল এবং এটি আমার লক্ষ্য যে, চীনের ওই অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করব।’
এ ছাড়াও মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুই দেশ ভারত মহাসাগরের দ্বীপে একটি সমন্বিত পর্যটন অঞ্চল গড়ে তুলতে ৫০ মিলিয়ন (৫ কোটি) ডলারের একটি প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ইউনিয়ন টেরিটরি লাক্ষাদ্বীপ সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ভারতীয়দের মালদ্বীপের বদলে সেই দ্বীপে ভ্রমণেরও আবেদন করেছিলেন তিনি।
তার পরই মালদ্বীপের তিনজন মন্ত্রী মোদিকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন। মোদিকে ‘জোকার’, ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘ইসরায়েলের হাতের পুতুলও’ আখ্যা দেন তারা।
এ ঘটনায় মালদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা অসংখ্য ভারতীয় পর্যটক, শেষ মুহূর্তে ভ্রমণ বাতিল করছেন। ফেসবুকে প্লেনের টিকিট ও হোটেল বুকিংয়ের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ‘বয়কট মালদ্বীপ’ প্রচারণাও শুরু করেছেন তারা।
এর পর মালদ্বীপ সরকার তাদের তিনজন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে।
মালদ্বীপ সরকারের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি পদে থাকাকালীন যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের পোস্ট করেছেন তাদের এখন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
মালদ্বীপ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মালদ্বীপের জন্য বৃহত্তম পর্যটন বাজার ছিল ভারত।