বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোপালে শিশুসদন থেকে ২৬ কিশোরী নিখোঁজ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ২২:০৮

পবন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা এনডিটিভিকে বলেন, ‘ওই শিশুসদনটি চার-পাঁচ বছর ধরে চলছে। সদনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয় না। ফলে এর মধ্যে আসলে কী হয়, তা কেউ জানে না। তবে ওখানে থাকা মেয়েদের মাঝে মাঝে বাজারে নিয়ে যান ম্যাডাম। প্রায়ই মাঝরাতে দুই-তিনটা গাড়ি সেখানে আসে এবং রাত ২-৩টার দিকে তারা আবার চলে যায়।

রেজিস্টার খাতায় উপস্থিতি রয়েছে ৬৮ কিশোরীর, কিন্তু তাদের মধ্যে অন্তত ২৬ জনের কোনো খোঁজ মিলছে না। প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনো সদুত্তর মেলেনি।

ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি শিশুসদনে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন দেশটির শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। আঁচল গার্লস হোস্টেল নামের ওই শিশুসদন থেকে ২৬ কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

দ্য ওয়ালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভোপাল শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ওই শিশুসদনটি একটি এনজিও দ্বারা পরিচালিত। দেশের নানা প্রান্ত থেকে শিশুদের উদ্ধার করে তারা ওই শিশুসদনে রাখে।

ভোপালের ওই প্রতিষ্ঠানটির কোনো নিবন্ধন ছিল না। মিশনারি হোমটিতে শিশুদের এনে তাদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করা হত বলেও দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্ক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ওই শিশুসদনে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে নিজেই তাজ্জব বনে যান এ কর্মকর্তা। তখনই জানতে পারেন, রেজিস্টার খাতায় নাম থাকলেও গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের অন্তত ২৬ জন কিশোরী নিখোঁজ। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অনিল ম্যাথিউকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এরপরই শিশু সুরক্ষা কমিশন কর্মকর্তার নির্দেশে নিকটবর্তী পারওয়ালিয়া পুলিশ স্টেশনে মামলা করা হয়।

জানা গেছে, বর্তমানে ওই হোস্টেলে থাকা ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু। তবে তাদের ধর্মান্তরিত করার পরিকল্পনা ছিল হোস্টেলের পরিচালকদের।

এ বিষয়ে পবন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা এনডিটিভিকে বলেন, ‘ওই শিশুসদনটি চার-পাঁচ বছর ধরে চলছে। সদনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয় না। ফলে এর মধ্যে আসলে কী হয়, তা কেউ জানে না।

‘তবে ওখানে থাকা মেয়েদের মাঝে মাঝে বাজারে নিয়ে যান ম্যাডাম। প্রায়ই মাঝরাতে দুই-তিনটা গাড়ি সেখানে আসে এবং রাত ২-৩টার দিকে তারা আবার চলে যায়। ম্যাডাম তাদের স্কুলেও নিয়ে যান।’

ইতোমধ্যে নিখোঁজ কিশোরীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। তিনি বলেছেন, ‘নিখোঁজ কিশোরীদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।’

এ ঘটনায় অপরাধীদের একজনকেও ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর