বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে, বিশেষ করে নির্বাচন-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিতর্কিত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে রাশিয়ার সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় নীরব অবস্থান বজায় রেখেছে বাইডেন প্রশাসন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বাংলাদেশ নিয়ে করা মন্তব্যের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এর আগেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জাখারোভা। খবর ইউএনবির।
বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি জাখারোভা বলেন, “জনগণের ইচ্ছার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।”
এ বিষয়ে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।’ তবে এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার আরেকজন সাংবাদিক বাংলাদেশের একটি মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরেন, যেখানে অগ্নিসংযোগকারীরা ঢাকাগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালায়। যার ফলে একজন নারী ও তার ৩ বছরের শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
প্রশ্নকারী সাংবাদিক মিলারকে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার এই ব্যক্তিদের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান জানতে চান।
মিলার এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট করে এই ঘটনা সম্পর্কে জানি না এবং এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এ নির্মম ঘটনা সম্পর্কে না জানার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার জটিলতা ও চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও কোনো মন্তব্য করেননি।
রাশিয়ার সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে করা প্রশ্নে সংক্ষিপ্ত উত্তর দেন মোমেন। বলেন, ‘আমরা কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না।’