বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহুয়া বিতর্কে নতুন মোড়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৩:১৭

অনেক আগেই এথিক্স কমিটির একাধিক সদস্য প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছিলেন, মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে এথিক্স কমিটি এক সংসদ সদস্যকে বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে?

এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন।

আদালতের ওয়েবসাইটে প্রাথমিকভাবে সোমবার জমা দেয়া ওই মামলার আবেদন মহুয়া বিতর্কে নতুন মোড় বলে মনে করছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম।

লোকসভায় মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করা’র অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির সংসদ সদস্য নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার সাবেক বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও অভিযোগ তোলেন।

তার ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। সেই তদন্তের রিপোর্ট শুক্রবার লোকসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপির সংসদ সদস্য বিনোদ সোনকর।

কিন্তু অনেক আগেই এথিক্স কমিটির একাধিক সদস্য প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছিলেন, মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে এথিক্স কমিটি এক সংসদ সদস্যকে বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে?

সুপ্রিম কোর্টে ১৫ পৃষ্ঠার আবেদনে বিষয়টি বিস্তারিত লিখেছেন মহুয়া। তাতে তিনি এথিক্স কমিটির রিপোর্ট এবং তাকে বহিষ্কারের প্রস্তাবকে ‘সত্যের বিকৃতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, মহুয়ার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সংসদ সদস্য নিশিকান্ত এবং আইনজীবী জয় দেহাদ্রাই। এর মধ্যে দেহাদ্রাই মহুয়ার সাবেক বন্ধু। সে কথা উল্লেখ করে আবেদনে বহিষ্কৃত মহুয়া লিখেছেন,‘জয়ের উদ্দেশ্য সহজেই অনুমেয়’। নিশিকান্ত ও জয়ের অভিযোগের বক্তব্য তুলে ধরে আবেদনে মহুয়া দেখাতে চেয়েছেন, তার মধ্যে কতটা ‘পরস্পর বিরোধিতা’ রয়েছে।

পাশাপাশি এথিক্স কমিটির তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। কীভাবে তাকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে শুনানিকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে কথারও উল্লেখ রয়েছে মহুয়ার আবেদনে।

তৃণমূলের বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে এ-ও উল্লেখ করেছেন, কীভাবে তাকে পাল্টা প্রশ্ন করতে বাধা দেয়া হয়েছিল। ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির হলফনামা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মহুয়ার পক্ষে।

তার স্পষ্ট অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার তথা দেশের শাসকদলের ধারাবাহিক সমালোচনা করার কারণেই তাকে ‘টার্গেট’ করে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার ঔদ্ধত্য’। যা যুক্তি, আইন, এক্তিয়ার সব কিছু লঙ্ঘন করেছে।

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যবসায়ী দর্শনের কাছ থেকে উপহার ও টাকা নিয়ে সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নে তিনি আদানির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও।

সংসদ সদস্যের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ডও দর্শনকে মহুয়া দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল নিশিকান্ত এবং জয়ের। মহুয়া অবশ্য ইতোমধ্যে একাধিকবার জানিয়েছেন, বন্ধু দর্শনকে তিনি আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন শুধু তার প্রশ্নগুলো ‘টাইপ’ করে দেয়ার জন্য। কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত এ সংসদ সদস্যের দাবি, ওই সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বা বিধি নেই।

২০০৫ সালে লোকসভার ১০ জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ে তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করে, তার ভিত্তিতে তাদের লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর