বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্তর্বাস খুলে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন পুরুষ, পাহারায় ইসরায়েলি সেনারা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:১২

ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের যে এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সপ্তাহ আগেই সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাসের চলা তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে বেশ কিছু পুরুষকে তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় দেখা গেছে।

উপত্যকাটির সুদূর উত্তরে বেইট লাহিয়ায় ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অবশ্য কয়েকজনকে ছেড়েও দেয়া হয়েছে।

বিবিসি ফুটেজ যাচাই করে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের যে এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সপ্তাহ আগেই সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন বেশ কয়েকজন পুরুষ এবং ইসরায়েলি সেনারা তাদের পাহারা দিচ্ছে।

আরেক ভিডিওতে কয়েক ডজন পুরুষকে একটি ফুটপাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের পাহারা দিচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা, সঙ্গে ছিল সাঁজোয়া যান।

অন্য কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন পুরুষকে সামরিক ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এসব বন্দিদের আত্মসমর্পণকারী হামাস যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) সরাসরি ফুটেজ ও ছবিগুলো নিয়ে মন্তব্য করেনি, তবে মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সন্দেহভাজনদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য এসেছে তা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে।

শুক্রবার, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি বলেছেন, যে লোকদের উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং শেজাইয়াতে আটক করা হয়েছে ওই এলাকাগুলো হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি সুপরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক দিয়া আল-কাহলুত, কাজ করেন আল-আরাবি আল-জাদেদের সংবাদদাতা হিসেবে।

গাজার অবস্থা জানিয়ে রয়টার্স বলছে, টানা বিমান হামলার পর দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে এই অভিযান চলছে ব্যাপকভাবে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে।

হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর।

উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতে হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।

এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।

এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।

এ বিভাগের আরো খবর