ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে ইরসায়েলের সেনাবাহিনী।
গাজার প্রধান এ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল বলে আসছিল, এই হাসপাতালটি গাজার শাসক দল হামাস ব্যবহার করে সেখানে টানেল বানিয়েছে তারা। এই টানেল দিয়ে যুদ্ধের নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল হামাস। তবে হামাস এ দাবি অস্বীকার করেছে বারবারই।
হাসপাতালের একজন বিভাগীয় প্রধান খালিদ আবু সামরা বলেছেন, ‘ডাক্তার মোহাম্মদ আবু সালমিয়াসহ হাসপাতালের আরও কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সম্প্রতি শহরের সবচেয়ে উন্নত ও প্রধান এ হাসপাতালটি থেকে আতঙ্কের কারণে বেশির ভাগ মানুষ চলে যায়। শুধু যেসব রোগীদের নড়ার উপায় নেই, তারা পড়ে আছেন করিডরে, কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়। এ অবস্থার মধ্যে হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে ছয়টি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।