বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আল-শিফা হাসপাতাল এক ঘণ্টার মধ্যে খালি করার নির্দেশ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৪:৩৬

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক ইউমনা এল সাইদ বলেন, ‘রোগী ও অপরিণত শিশুদের গাজায় স্থানান্তর করার জন্য তাদের (হাসপাতালের) কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই।’

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালে থাকা চিকিৎসক, রোগী ও বাস্তুচ্যুত লোকজনকে এক ঘণ্টার মধ্যে অন্যত্র চলে যেতে বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হাসপাতালটির চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলের টানা বোমার্ষণ ও অবরোধের মধ্যে এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল খালি করা অসম্ভব। হাসপাতালটিতে প্রায় সাত হাজার মানুষজন আছে। সেখানে থাকা অনেক রোগীর অবস্থা গুরুতর।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক ইউমনা এল সাইদ বলেন, ‘রোগী ও অপরিণত শিশুদের গাজায় স্থানান্তর করার জন্য তাদের (হাসপাতালের) কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই।’

এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল ছাড়ার বিষয়টিকে ‘সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করেন এ প্রতিবেদক।

ইউমনা জানান, আল-শিফা হাসপাতালে থাকা রোগীদের মধ্যে অন্তত ৩০০ জনের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালটিতে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার পরিবার রয়েছে।

ইউমনা আরও বলেন, ‘এর মধ্যে অন্তত ৩৫টি অপূর্ণাঙ্গ শিশু রয়েছে যাদের ইতোমধ্যেই আট দিন ধরে অক্সিজেন ও বিদ্যুতের অভাবে ইনকিউবেটরের বাইরে রাখা হয়েছে। ইনকিউবেটর ছাড়া আরও ৩৯টি শিশু ছিল, যাদের মধ্যে শুক্রবার রাতে চারজন মারা যায় এবং পাঁচজন এখন গুরুতর অসুস্থ।

‘জ্বালানির অভাবের কারণে গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলে কোনো পরিবহন ব্যবস্থাও নেই। তাই লোকজন হেঁটেই হাসপাতাল থেকে সরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে ডাক্তাররা বলছেন এত লোককে হাঁটিয়ে সরিয়ে নেয়া অসম্ভব।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-রশিদ সড়ক দিয়ে আল-শিফা হাসপাতালের লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জানিয়ে ইউমনা এল সাইদ জানান, সাধারণ সড়ক দিয়ে লোকজনকে দক্ষিণে সরিয়ে নেয়ার কথা নয়। সে ক্ষেত্রে সাধারণত সালাহ আল-দিন সড়ক ব্যবহার করা হয়।

আল-শিফা হাসপাতালে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন নেই অন্তত এক সপ্তাহ ধরে।

এ বিভাগের আরো খবর