ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসরায়েল বৃহত্তম এই হাসপাতালে বুধবার অভিযান শুরু করে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
হাসপাতালটির চারপাশে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে ওই এলাকা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, হাসপাতালটিতে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে আছেন। তারা হাসপাতালের নিচে একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করে সেখান থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছেন, তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও মন্তব্য, এই দাবি পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট ও বিশেষ এলাকাগুলোয় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।
আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ মোখাল্লালাতি বলেন, ‘ইসরায়েলি অভিযানের কারণে হাসপাতালটিতে ৬৫০ জন রোগী আটকা পড়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে নতুন অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ফিলিস্তিনের ওয়াফা সংবাদ মাধ্যমেকে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটিতে অসহায় রোগীরা আছেন। সেই সঙ্গে আছেন চিকিৎসাকর্মীরা। হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েল মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ করেছে।
‘গাজার বৃহত্তম এই হাসপাতাল ও এর আশপাশে রোগী ও চিকিৎসাকর্মীসহ হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সবার জীবন এখন ঝুঁকির মুখে।’
এর আগে সোমবার জ্বালানির অভাবে গাজার আল-শিফার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৬৯ জনে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে চার হাজার ৩২৪ জন শিশু ও দুই হাজার ৮২৩ জন নারী।