বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ দ্বিতীয় ধাপে গড়িয়েছে: নেতানিয়াহু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ২৩:০৩

জাতির উদ্দেশে দেয়া টেলিভিশন ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘ ও কঠিন হবে। এটি আমাদের দেশের জন্য দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। এ অভিযান সহজ নয়। তবে আমরা প্রস্তুত।’

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ দ্বিতীয় ধাপে গড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘এ পর্যায়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘ ও কঠিন হবে।’ খবর আল-জাজিরার।

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। এ অভিযান সহজ নয়। তবে আমরা প্রস্তুত।’

গাজা শহরকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ ঘোষণা দিয়ে বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কীকরণ লিফলেট ফেলা হয়েছে। ইন্টারনেট মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকস বলেছে, গাজা উপত্যকায় শুক্রবার থেকে টেলিফোন লাইন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা বহির্বিশ্ব থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। তবে রোববার সকাল থেকে তা আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ শুরুর পর থেকে এ লড়াইকে ইসরায়েলের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ’ হিসেবে অভিহিত করে আসছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করব এবং আত্মসমর্পণ করব না। আমরা স্থলে বা আকাশে কোথাও সৈন্য প্রত্যাহার করব না।’ পশ্চিমা দেশ ও আরব বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের পাশে আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে শনিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেন। অপরদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘আমাদেরকে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করবেন না। আমাদের সৈন্যদের যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা ভণ্ডামির শামিল। আমরা বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী।’

এদিকে নেতানিয়াহুর ঘোষণার ফলে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা একটি গৌন উদ্দেশ্যে পরিণত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে অপহৃত ২২০ জনেরও বেশি জিম্মির বিনিময়ে হামাস ইসরায়েলের কারাগারে থাকা সব ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির প্রস্তাব দেয়।

হামাস এ পর্যন্ত কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনো বেশিরভাগ তাদের হাতে বন্দি রয়েছে। নেতানিয়াহু হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন, যারা গাজায় তীব্র হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জিম্মিদের নিরাপত্তা ও মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরায়েল গাজায় সামরিক হামলা থামাতে পারে, যারা এমনটা আশা করেছিলেন তারা নেতানিয়াহুর ঘোষণায় অনেকটাই হতাশ।

তবে নেতানিয়াহুর দাবি, জিম্মিদের উদ্ধার করা সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যগুলোর একটি ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ। গাজাকে ‘শয়তানের আখড়া’ অভিহিত করে তিনি সেখান থেকে জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন।

এ বিভাগের আরো খবর