যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ও ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণ ‘একই রকম’ উল্লেখ করে বলেন, ‘উভয়ই প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়; কাউকেই জিততে দেয়া হবে না।’
বিবিসির শুক্রবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে জাতির উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে বাইডেন এ কথা বলেন।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে বুধবার ইসয়ায়েল সফর করেন বাইডেন।
সেখান থেকে ফিরে তিনি বলেন, ‘আমরা হামাসের মতো সন্ত্রাসী ও পুতিনের মতো স্বৈরাচারী শাসককে জিততে দিতে পারি না।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘হামাস ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভিন্ন হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে, কিন্তু উভয়ের সাধারণ হুমকি হলো, প্রতিবেশীর গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।’
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কাছে ইসরায়েল ও ইউক্রেনের জন্য বিলিয়ন ডলার চাইবেন বলেও জানান বাইডেন।
১৫ মিনিটের এ ভাষণে বাইডেন ইসরায়েলি নেতাদের ৯/১১ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার ও ‘ক্রোধে অন্ধ’ না হতে আহ্বান জানান।
এর আগে ফিলিস্তিনের ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে বুধবার দেশটির তেল আবিব সফরে যান জো বাইডেন।
ইসরায়েল সফর শেষে জর্ডানে গিয়ে বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও, মঙ্গলবার গাজার হাসপাতালে বোমা হামলার জেরে পূর্বনির্ধারিত এ বৈঠক বাতিল করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। পানি, খাবার, জ্বালানি, ওষুধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার ও প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার।