টানা হামলা চালাতে থাকা ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখল করতে চায় না বলে দাবি করেছে। তবে দেশটি বলছে, তাদের লক্ষ্য ওই উপত্যকতার শাসক হামাসকে নির্মূল করা।
গাজা দখল করা ইসরায়েলের জন্য বড় ভুল সিদ্ধান্ত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করার পর সিএনএনকে সোমবার এই বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গাজা দখল বা সেখানে অবস্থান করার কোনোই আগ্রহই নেই, কিন্তু যেহেতু আমরা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছি এবং এর একমাত্র উপায়, যেমন বাইডেন নিজেই বলেছেন হামাসকে নির্মূল করা, তাই আমাদের যা করা দরকার তা করতে হবে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল হারজগ রোববার সিএনএনকে বলেছেন, সংঘাত শেষ হওয়ার পরও ইসরায়েল গাজা দখল করতে চায় না।
তিনি বলেন, আমাদের গাজা দখল বা পুনর্দখল করার কোনো ইচ্ছা নেই। আমাদের ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে শাসন করার কোনো ইচ্ছা নেই।
এদিকে জো বাইডেন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। এ নিয়ে গিলাদ এরদান বলেছেন, দক্ষিণ গাজায় পানি আবার চালু করা হয়েছে। তবে জন্য বিদ্যুৎ চালু কি না তা তিনি জানাননি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। পানি, খাবার, জ্বালানি, ওষুধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল ও নৌপথেও হামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা শোনা গেলেও তা নিয়ে এখনও কোনো ঘোষণা আসেনি।
কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী, হামলায় ইসরায়েলের ১৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে, আর ফিলিস্তিনিতে নিহত হয়েছে প্রায় ২৭০০ মানুষ।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।