ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মধ্যে উপত্যকার শাসক দল হামাসসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিরোধশক্তিগুলো সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আবদোল্লাহিয়ান।
আঞ্চলিক সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল আল-মিকদাদের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে ইরাক ও লেবানন সফর শেষে সিরিয়ায় যান আমির-আবদোল্লাহিয়ান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার।
প্রতিরোধশক্তি ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত জানিয়ে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, ‘(এসব সাক্ষাতের সময়) আমাকে জানানো হয়েছে যে, প্রতিরোধশক্তি তার সামনে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেছে এবং (প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো) খুবই উচ্ছ্বসিত।’
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরপরই গাজায় বিরামহীন বোমা বর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির হামলায় প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের মধ্যে এক হাজার নারী ও শিশু রয়েছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ৩০০।
গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে উত্তর গাজার ১১ লাখ বাসিন্দাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাসস্থান ছাড়তে বৃহস্পতিবার রাতে তাগিদ দেয় দেশটি। সেই তাগিদের পরিপ্রেক্ষিত হাজারো ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় গেছেন, তবে এখনও গাজা সিটিতে রয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি।