মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুতদের শরণার্থী শিবিরে শক্তিশালী আর্টিলারি হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন।
চীনের সীমান্তবর্তী কাচিন নামক এলাকায় সোমবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়। এলাকাটি কাচিন স্বাধীনতা সংগঠন নামে সেনা সরকারের শাসন বিরোধী এ বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
কাচিন বিদ্রোহীরা হামলার জন্য জান্তা সরকারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করছেন। মঙ্গলবার সংগঠনটির মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
হামলায় নিহত সবাই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির মুখপাত্র হামলার কারণ হিসেবে তাদের নিয়ন্ত্রিত কাচিন এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমশ জান্তা বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি এবং সংগঠনটির প্রতি সমর্থন বাড়াকে উল্লেখ করেছেন।
২০২১ সাল থেকেই জান্তা সরকারের সেনাবাহিনী ও গোষ্ঠীটির মধ্যে প্রায়ই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গভীর রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণেক্যাম্পের একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১১ জন ছিল শিশু। আহত ৫৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ হামলার দায় সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
দেশটিতে অবস্থিত জাতিসংঘ দপ্তর হামলায় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তাদের ফেসবুক পেজে বেসামরিক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলটি প্রায় এক যুগ ধরেই এরকম সংঘর্ষ দেখে আসছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন গত কয়েকদিন ক্যাম্পের আশেপাশে কোন ধরনের সংঘর্ষ হয়নি তাই আকাশ পথে এ হামলা হয়েছে।
হামলাকারী হিসেবে তাদেরও সন্দেহের তীর জান্তা সেনাবাহিনীর দিকেই।