হামাসের দ্বারা হামলার শিকার হওয়ার পর পাল্টা হামলা চালাতে থাকা ইসরায়েল এবার গাজায় খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছু বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
সোমবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় খাবার, পানি ও জ্বালানি বন্ধ করবে ইসরায়েল, বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে সব বিদ্যুৎ সংযোগও।
সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হামাস পরিচালিত গাজায় ‘সম্পূর্ণ অবরোধের’ অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কেটে দেবে এবং খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দেবে।
গ্যালান্ট এই পদক্ষেপকে ‘মানবপশুর’ বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা গাজাকে সম্পূর্ণভাবে অবরোধ করছি... বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই- সবই বন্ধ রয়েছে।’
ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল শনিবার সকালে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েলে। এরপর পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে বহু মানুষের। বন্দি হয়েছে অনেকে।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।
২০০৭ সালে হামাস প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ইসরায়েল এবং মিশর গাজার ওপর বিভিন্ন স্তরের অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।
ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসরায়েলে শনিবার হামাস যোদ্ধাদের অনুপ্রবেশের পর তারা সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু এই পর্যায়ে, সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো যুদ্ধ নেই।
গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস শনিবার ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। এরপর নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলও। দুই পক্ষই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায়।
হামাসের হামলা ও গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় দুই ভূখণ্ডে এক হাজার এক শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অনেকেই নারী ও শিশু।