ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রকেট হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে পৌঁছেছে।
গাজার বিভিন্ন অবস্থান থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এই রকেট ছোড়া শুরু হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার শাসক দল হামাসের রকেট ছোড়ার পর দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণা করেছে ইসরায়েলও। চালানো হচ্ছে বিমান হামলা।
শুরুতে নিহতের সংখ্যা ২২ জানানো হলেও পরে এই সংখ্যা বেড়ে ৪০ হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলের জনগণকে উদ্দেশ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। গাজার শাসকদের কী মূল্য দিতে হবে তা তাদের জানা নেই।’
রকেট হামলা শুরুর পর ইসরায়েলের উদ্ধারকারী সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানায়, দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি ভবনে পড়া রকেটে গুরুতর আহত হন ৭০ বছর বয়সী এক নারী। রকেটের শার্পনেলের আঘাতে ২০ বছর বয়সী এক যুবক সামান্য আহত হন।
এদিকে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, গাজা থেকে ছোড়া রকেটে ইসরায়েলি এক নারী নিহত হয়েছেন।এমন বাস্তবতায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, বেশ কিছু ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে।এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দেশটির সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আরও জানায়, গাজা উপত্যকা সংলগ্ন ইসরায়েলের এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমরা শত্রুকে সতর্ক করেছি। দখলদাররা (ফিলিস্তিনের) বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে শত শত নির্বিচার হত্যা চালিয়েছে। দখলদারদের অপরাধের কারণে এ বছর শত শত শহীদ হয়েছেন এবং আহতরা প্রাণ হারিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, “আমরা ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ (অভিযান আল-আকসা বন্যা) নামের অভিযান ঘোষণা করছি এবং আমরা শুরুতে আঘাতের ঘোষণা করছি, যা শত্রুর অবস্থান, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে; ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলার সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।”
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিপুল রকেট ছোড়ার পর জেরুজালেমে সাইরেন বাজিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।