ভারতের নয়াদিল্লিতে এক যুবককে বেঁধে মারধর করার পর তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পূর্ব দিল্লির সুন্দরনগরী এলাকায় বুধবার এই ঘটনা ঘটে বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
নিহতের পরিবার বলছে, 'হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা গণেশের প্রসাদ চুরি করে খাওয়ার অভিযোগে ইসার আহমেদকে বেঁধে বেদম মারধর করা হয়। আর এই নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।’
পুলিশ বলছে, এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। এতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো ব্যাপার নেই।
এদিকে ২৬ বছর বয়সী ইসার আহমেদের মৃত্যতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয় তিরকে বলেন, 'এটি কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। সংশ্লিষ্টরা দেখতে পান যে যুবকটি আশপাশে ঘুর ঘুর করছেন। তারা তাকে চোর সন্দেহে ধরেন। তারপর তাকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িতদের বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ইসার গণেশের প্রসাদ চুরি করেছেন বা করতে গিয়েছিলেন, এমন কোনো তথ্য আছে কি না- এমন প্রশ্নে পুলিশ বলছে, মামলাটি ‘সন্দেহ বিষয়ক’।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, ইসার এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। তখন তাদের সন্দেহ হয়, ইসার গণেশের প্রসাদ চুরি করবেন। সেই সন্দেহের জেরেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, ইসারকে তারা প্রশ্ন করেন, কেন সেখানে ঘোরাফেরা করছেন তিনি।
পুলিশ বলছে, প্রশ্নের সঠিক জবাব ইসার দিতে পারেননি। কারণ তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন।