গুয়াতেমালায় ভারি বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে ও নদীর স্রোতে বাড়িঘর ভেসে যাওয়ায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন প্রায় ১২জন।
গুয়াতেমালার ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন ফর ডিজাস্টার রিডাকশন এজেন্সির (কনরেড) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার নারাঞ্জো নদীর পানিতে গুয়াতেমালা শহরের একটি সেতুর নিচে থাকা কমপক্ষে ছয়টি বাড়ি ভেসে যায়।
আল জাজিরার মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা কুকুর ও উদ্ধারকারী দলগুলো ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। তাকে আংশিকভাবে কাদায় চাপা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এখনও নিখোঁজ ১২জনের মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে আটজন শিশু ছিল।
বাসিন্দারা জানান, ভারি বৃষ্টির কারণে নদী সমতল বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূমিধস হয়েছে। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এ জাগায় বসবাস করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।
ইসাউ গোঞ্জালেজ নামের এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘নদীর পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। জিনিসপত্র ভেসে গেছে ও মানুষজন নিখোঁজ হয়েছে।’
গুয়াতেমালায় বর্ষা মৌসুম চলে মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চলতি বছর সেখানে ভূমিধসে ইতোমধ্যেই অন্তত ২৯ জন মারা গেছেন।