বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে পুনর্গঠনের অঙ্গীকার চীনের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫৪

কূটনীতিকদের সন্দেহ, সিরিয়ার দুর্বল নিরাপত্তা ও ভয়াবহ আর্থিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে চায় চীন। এ কারণেই সিরিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিয়েছে দেশটি।

বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে বিদ্ধস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন। এ কর্মকাণ্ডে ইরান ও সৌদি আরবের সঙ্গে চীন একটি কৌশলগত অংশীদারত্বে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।

শুক্রবার পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হ্যাংঝুতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে করা বৈঠকে একথা জানান চিনপিং।

মি. আসাদকে চিনপিং বলেন, ‘সিরিয়ায় চলমান অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল করতে দেশটির জনগণের পাশে থাকতে চায় বন্ধু চীন। এছাড়া ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা পাওয়ায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের ব্যাপারেও চীন সিরিয়াকে সহযোগিতা করবে।

‘চীন সিরিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ, একতরফা গুণ্ডামি ও সিরিয়া-বিরোধিতাকে সমর্থন করে না। সেইসঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির পুনর্গঠনে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে।’

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব কূটনীতি থেকে একপ্রকার ‘একঘরে’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তবে এই অচলাবস্থার অবসান এবং নিজ দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়িয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় বর্তমানে এক সফরে চীনে রয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

বৈঠকে বৈশ্বিক নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রাচীন সিল্ক রোড-সংলগ্ন অবকাঠামোগত অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমর্থন জানিয়েছে চীন। এ ছাড়া অন্যান্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতেই চীন সিরিয়াকে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চিনপিং বলেন, “চীন আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তি স্থাপন প্রচেষ্টার পাশাপাশি বৈশ্বিক উন্নয়নেও ইতিবাচক অবদান রাখতে চায়। এ কারণে আমরা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ মাধ্যমে সিরিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।”

তবে কূটনীতিকদের সন্দেহ, সিরিয়ার দুর্বল নিরাপত্তা ও ভয়াবহ আর্থিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে চায় চীন। এ কারণেই সিরিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিয়েছে দেশটি।

২০১১ সালে বাশার আল আসাদের ক্ষমতায় থাকাকালে একটি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে জড়ায় সিরিয়া। ওই ঘটনায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্য দেশে শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘটনাটির পর সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। তবে রাশিয়া ও ইরানের প্রত্যক্ষ মদদে এখনও টিকে রয়েছে আসাদ সরকার।

২০২০ সালে পশ্চিমারা সিরিয়ায় সহযোগিতা বন্ধ রাখতে একটি আইন জারি করে। সিজার আইন নামের ওই আইনটিতে বলা হয়, দেশটিতে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের সকল সম্পদ জব্দ করা হবে।

ফলে সিরিয়াকে চীনের এ ধরনের সমর্থন বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিভাগের আরো খবর