দক্ষিণ কোরিয়ায় ইরানের জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদ অবমুক্ত হয়েছে, একই সঙ্গে কার্যকর হয়েছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি।
স্থানৗীয় কর্তৃপক্ষের রবাতে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য দিয়েছে।
একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতারের দোহারে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইরানের ৬ বিলিয়ন অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বন্দি বিনিময়ও শুরু হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে একটি কাতারের বিমান ইরানে প্রস্তুতি রাখা হয়। মুক্তি পাওয়া পাঁচ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং দুই আত্মীয়কে দোহায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে বিমানটির।
সম্প্রতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হবে বলে ইঙ্গিত দেয় তেহরান। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটির জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদের অবমুক্ত করাও কথাও জানানো হয় তাদের পক্ষে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি তখন বলেছিলেন, বন্দি বিনিময় এবং জব্দ করা অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আলাদা ইস্যু।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে বলা হয়, ওই অর্থের বিনিময়ে ইরানে আটক পাঁচজন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিককে মুক্তি দেবে তেহরান। অন্যদিকে একই সংখ্যক ইরানি বন্দিকে মুক্তি দেবে ওয়াশিংটন।
এরই অংশ হিসেবে ইরান গত ১০ আগস্ট তেহরানের এভিন কারাগার থেকে পাঁচ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে বের করে স্থানীয় হোটেলে গৃহবন্দি করে রাখে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ২০১৮ সালে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় অবরুদ্ধ হওয়া তহবিল সোমবার তেহরান হাতে পাবে।
তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বৈত নাগরিকত্বের পাঁচ আমেরিকান দোহা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আটক পাঁচ ইরানিকে মুক্তি দেয়া হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, দুই ইরানি ইরানে ফিরবেন এবং তাদের অনুরোধে দুজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন। একজন বন্দি অন্য দেশে তার পরিবারের সঙ্গে যোগ দেবেন।
এই চুক্তির মাধ্যমে কার্যত দুই দেশের মধ্যে বৈরিতার সম্পর্ক কিছুটা হলেও শীতল হওয়ার পথ তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।