ভাড়াটে সেনাগোষ্ঠী ওয়াগনারের সদস্যদের অনেকেই ইউক্রেন থেকে যুদ্ধ করে রাশিয়া ফিরে আসছেন, তবে তারা দেশে চাকরি নিয়ে সংকটে পড়েছেন।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গিয়ে চাকরি না পেয়ে এই যোদ্ধারা বেশ হতাশায় ভুগছেন বলে সোমবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়াগনারের ভাড়াটে যোদ্ধারা নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন সম্প্রতি। তারা বলছেন, কাউকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে, কাউকে বা দাড়োয়ানের দায়িত্ব পালন করতেও বাধ্য করা হচ্ছে।
অনেক নিয়োগকর্তা ওয়াগনারের সাবেক সদস্যদের সাক্ষাৎ দিতে পর্যন্ত চান না বলে জানান তারা। অবশ্য তাদের এরই মধ্যে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।
নিউজউইক জানিয়েছে, নৃশংস ভাড়াটে গোষ্ঠীর জন্য নিয়োগ করা অনেক যোদ্ধা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এসব সদস্য হত্যাসহ গুরুতর অপরাধের জন্য জেলে ছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে যখন রাশিয়ার সেনাবাহিনী কোনঠাসা, তখন ওয়াগনার সেনাদের ভূমিকায় বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া।
তবে এক পর্যায়ে অস্ত্র সরবরাহ এবং যুদ্ধের নীতি-কৌশল নিয়ে ওয়াগনার প্রধানের সঙ্গে রাশিয়ার শীর্ষ কমান্ডারদের মতবিরোধ দেখা দেয়।
এ অবস্থায় গত আগস্টের শেষ সপ্তাহে মস্কো থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
এ দুর্ঘটনার পেছনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমের পুতিনের দিকে অভিযোগের তীর উঠলেও তা নিয়ে কিছু বলেননি পুতিন। তিনি শুধু বলেছেন, ‘প্রিগোজিন মেধাবী মানুষ ছিলেন। তবে দুর্ভাগ্য নিয়ে এসেছিলেন তিনি।’