বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাত নবজাতক হত্যায় দোষী ব্রিটিশ নার্স

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ১২:২৪

গত বছরের অক্টোবর থেকে বিচার চলছে ৩৩ বছর বয়সী লুসির। শুক্রবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

যুক্তরাজ্যে সাত নবজাতক হত্যার ঘটনায় লুসি লেটবি নামের এক নার্সকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই নার্সের নামে আরও ছয় নবজাতককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে বিচার চলছে ৩৩ বছর বয়সী লুসির। শুক্রবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

উত্তর ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টের বিচারক ২২ দিন বিবেচনার পর লুসিকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

লুসি নবজাতকদের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে অসুস্থ ও অপরিণত নবজাতকদের হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, এ নার্স ইনজেকশনের মাধ্যমে শিশুদের শরীরে বাতাস বা ইনসুলিন প্রবেশ করিয়ে অথবা তাদের অতিরিক্ত দুধ পান করিয়ে হত্যা করতেন।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এ মুহূর্তে লুসিই যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি নবজাতক হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত।

২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের একই মাসের মধ্যবর্তী সময়ে কাউন্টেস অফ চেস্টার হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতোপূর্বে লুসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে বিচারে তার বিরুদ্ধে সাত নবজাতক হত্যার তথ্য নিশ্চিত করে আদালত।

লুসি আরও ছয় নবজাতককে হত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ আনা হয়।

সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আরও দুইবার গ্রেপ্তার হয়ে মুক্তি পেয়েছিলেন লুসি।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে লুসি দাবি করেন, তিনি শিশুদের নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন এবং তিনি এসবের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।

তিনি জানান, হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় মনে হচ্ছে তিনি হয়তো ভুল কিছু করেছেন।

লুসির পক্ষের আইনজীবী বেন মায়ার্স বলেন, ‘লুসি পরিশ্রমী ও তার কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল। তিনি তার পেশাকে পছন্দও করেন।’

এর আগে ২০০৪ সালে শিপম্যান নামের এক চিকিৎসকের নামে তার ১৫ রোগীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি আত্মহত্যা করেন।

শিপম্যানের মৃত্যুর পর ১৯৭১ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে প্রায় ২৫০ জন রোগীর মৃত্যুতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তিনি মরফিন ইনজেকশনের ব্যবহার করে রোগীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেন।

এ বিভাগের আরো খবর