ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই তথ্য দিয়ে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, এখনও উদ্ধার কাজ চলমান এবং আরও মরদেহ পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একের পর এক আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া, পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান ও নেপালের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে বিগত কয়েক বছরে অপরিকল্পিত নানা নির্মাণ কাজ করায় এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার জন্য দায়ী বলে দাবি তাদের।
হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। ভূমিধসের ফলে পাথর ও গাছের নিচে চাপা পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়ক। এতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও রেল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত রয়েছে এলাকাটিতে।
উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানান, ভূমিধসের এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রদেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রবীণ ভরদ্বাজ পরিস্থিতির ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় ৫৫ জন মারা গেছেন এবং একই ঘটনায় পার্শ্ববর্তী উত্তরাখণ্ডে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।’
স্থানীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মীরা যন্ত্রের সাহায্যে গাছের গুঁড়ি ও ধসে পড়া পাথর-মাটি অপসারণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
হিমাচল প্রদেশ ও পার্শ্ববর্তী উত্তরাখণ্ডে ১ জুন থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ইতোমধ্যে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য দুটির কিছু অংশে বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।