রাজনৈতিক অস্থিরতা ও চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বুধবার পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট এ নির্দেশ দেন, যার মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলো।
দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবন্দি থাকার মধ্যেই নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে পাকিস্তান। ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা করা হয় ইমরানের নামে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে বিদায়ী সরকারকে তিন দিন সময় দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে ৯০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
যদিও বিদায়ী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন পিছিয়ে আগামী বছরে চলে যেতে পারে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকার নির্বাচন স্থগিতের কথা ভাবছে।
এদিকে পাকিস্তানের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি বলেন, ‘পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে, এমন যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ড, বিশেষত সহিংস কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমরা অবশ্যই উদ্বিগ্ন।’