মিয়ানমারে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর কারাবন্দি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
কারা সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোমবার রাজধানী নাইপিদোর একটি সরকারি ভবনে নেয়া হয় সু চিকে।
এর আগে এক বছর নির্জন কারাবাস করেছেন মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সেলর।
রুদ্ধদ্বার সামরিক আদালতে বিচারের পর ৩৩ বছরের সাজা খাটছেন ৭৮ বছর বয়সী সু চি। কারাগারে দুই বছরের বেশি সময়ে সু চির অবস্থা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়নি বললেই চলে।
কারাগার থেকে সু চিকে সরকারি ভবনে হস্তান্তরের বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাকে গৃহবন্দি রাখা জান্তা সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সু চিকে মুক্তি দিতে বিভিন্ন সময়ে জান্তা সরকারকে তাগিদ দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
কারাগারে সু চির অসুস্থতার গুঞ্জন পাওয়া গিয়েছিল, তবে এটি নাকচ করেছে সেনাবাহিনী।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে নাইপিদো কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছিল, সু চির শারীরিক অবস্থা ভালো।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রমুদউইনাই চলতি মাসে জানান, তিনি সু চিকে দেখতে গিয়েছিলেন, তবে শান্তিতে নোবেলজয়ী রাজনীতিকের শারীরিক অবস্থা কিংবা কারাগারে তার পরিস্থিতি নিয়ে কিছু জানাননি তিনি।