যাত্রীবাহী বাস, লঞ্চ, ট্রেনে, পথে-ঘাটে ভিক্ষাবৃত্তি নিত্য ঘটনা। উড়োজাহাজে বিনা মূল্যে ভ্রমণ বা যত্রতত্র উঠানামার সুযোগ না থাকায় পরিবহনটি ভিক্ষুকদের আওতার বাইরে বলেই ধারণা ছিল। কিন্তু এবার ভিক্ষাবৃত্তির প্রসঙ্গটি মাঝ আকাশে নিয়ে গেলেন পাকিস্তানি এক নাগরিক।
তিনি উড়োজাহাজে সহযাত্রীদের কাছে অর্থসহায়তা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন। এ সংক্রান্ত ভিডিওটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতে চলছে ট্রল।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চলাচল করা যাত্রীবাহী বাসে ভিক্ষাবৃত্তি নিত্য ঘটনা। জনবহুল স্টপেজগুলোতে সাহায্যপ্রার্থীরা উঠে কাকুতি-মিনতি করে টাকা-পয়সা চান।
কেউ অন্ধ, দুর্ঘটনায় পঙ্গু, জন্মগত শারীরিক ত্রুটির বাহানায় কাজ করতে পারেন না বলে অথবা স্বজনদের চিকিৎসা, কওমি মাদ্রাসার জন্য অর্থসহায়তা চান।
ভারত-পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ভিক্ষাবৃত্তির এ হাল অনেকটা বাংলাদেশের মতোই।
উড়োজাহাজের ওই ব্যক্তিও অর্থসহায়তা চেয়েছেন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে। তিনি সাদা পাঞ্জাবি, পায়জামা ও নীল জ্যাকেট পরা ছিলেন।
ভিডিওতে বিমানের দুই সারি আসনের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ভিক্ষুক নই। লাহোরে মাদ্র্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থসহায়তা চাই। টাকা দেয়ার ইচ্ছে করলে আপনাকে আসন ছেড়ে আমার কাছে আসতে হবে না। আমিই আপনার কাছে গিয়ে সংগ্রহ করে নেব।’
তবে ভিডিওটি কবের, কোন ফ্লাইট, কোন দেশের উড়োজাহাজ, কোথায় যাচ্ছিল-এসবের কিছুই নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভিডিওটি মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে দেয়া টুইটার লিংকে তা দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দুই সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ছে।
কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বরাতে জানানো হয়, দর্শকরা সাহায্যপ্রার্থী ব্যক্তিকে আখতার লাওয়া নামের একজন বলে চিহ্নিত করেন। তিনি এর আগেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ভাইরাল হন।
পেশায় আখতার ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। লাহোরে তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে।
পাকিস্তানে চলমান অর্থসংকটের আলোচনার মধ্যে এ ধরনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ট্রলে নতুন মাত্রা পায়। ওই ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরাও এ ট্রলের শিকার হচ্ছেন।