দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমি ধসে ২১ জনের মৃত্যু এবং ৯ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ছাড়া ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হয়েছে হাজারও মানুষকে।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহ্যাপ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ চুংচেং প্রদেশের ননসানে ভূমি ধস হয়। ফলে একটি ভবন ধসে দুজন মারা যান। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১ জন।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ উত্তর জিয়ংসাংয়ে। যেখানে ভূমি ও ঘরবাড়ি ধসে ১৬ জনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া শহরের একটি ভূগর্ভস্থ সড়ক বন্যায় প্লাবিত হয়। কর্তৃপক্ষ জানায়, আকস্মিক বন্যার কারণে সড়কটি ডুবে যায়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নজরদারি ফুটেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যে, প্লাবিত সড়কে ১৯টি যানবাহন ছিল। কিন্তু সেখানে কতজন লোক ছিল তা এখনও জানা যায়নি। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যায় সরকারি স্থাপনার ক্ষতির ৩১টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। দেশব্যাপী ১৩টি বিভাগ ও শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
দেশব্যাপী ৯৭টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। কোরিয়া রেলরোড করপোরেশন (KORAIL) ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ রেল চলাচল স্থগিত করেছে।
কোরিয়া আবহাওয়া প্রশাসন চুনচেং এবং জিওলা প্রদেশের জন্য ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।
প্রশাসন জনায়, বুধবার পর্যন্ত এবং জেজু দ্বীপে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু হতাহতের সংখ্যা কমাতে ভূমিধস প্রবণ অঞ্চলের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নিতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।