যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার আলোচনা 'প্রত্যক্ষ ও ফলপ্রসূ' হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের নিশ্চিত ভিত্তি।
ইয়েলেন রোববার বেইজিং ত্যাগ করার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে মতবিরোধ রয়েছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার প্রায় ১০ ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কস্থিতিশীল করতে সক্ষম হয়েছে।
বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে ইয়েলেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মতবিরোধ রয়েছে।’ তিনি তার সরকারের "অন্যায্য অর্থনৈতিক অনুশীলন" উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন এবং মার্কিন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে কথা তুলে ধরেছেন।
ইয়েলেন বলেন, ‘কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আমি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বিরোধিতার সম্পর্ককে মহাশক্তির সংঘাত হিসেবে দেখছি না। আমরা বিশ্বাস করি, দুই দেশের উন্নতি লাভের জন্য বিশ্ব যথেষ্ট বড়।’
ইয়েলেনের চার দিনের এই সফর যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা, যা তাইওয়ানের প্রযুক্তি ইস্যুতে শুরু হয় এবং দুই পক্ষই বিভিন্ন দেশকে আকৃষ্ট করছে যা বিভিন্ন কোম্পানি এবং বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত মাসে বাইডেন প্রেসিডেন্সির শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিকের প্রথম সফরে বেইজিং সফর করেছিলেন। অপরদিকে জলবায়ু দূত জন কেরি এই মাসে চীন সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইয়েলেনের এই সফরে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি না হলেও চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া শনিবার রাতে জানায়, উপ-প্রধানমন্ত্রী হি লিফেংয়ের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে একটি সমঝোতা হয়েছে।