রাশিয়ায় গত মাসে ভাড়াটে সেনাগোষ্ঠী ওয়াগনারের সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসানে চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। সেই চুক্তি অনুযায়ী কিছু যোদ্ধাসহ ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বেলারুশে চলে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটি হয়নি।
এ বিষয়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। জবাবে তিনি বলেন, ‘ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিষয়ে বলব, তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গে অথবা সম্ভবত এই সকালে তিনি ফ্লাইটে মস্কোতে গেছেন, তবে তিনি বেলারুশে নেই।’
এরপর লুকাশেঙ্কোর কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রিগোজিনের বেলারুশে না থাকার অর্থ চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়া কি না। জবাবে লুকাশেঙ্কো বলেন, সেটি হয়নি।
গত মাসের বিদ্রোহের ফল নিয়ে রাশিয়া ও বেলারুশের ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহান্তে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষণা করা হয়, নাটকীয় ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তবে এর সঙ্গে একমত নন লুকাশেঙ্কো।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ওই পরিস্থিতি থেকে কেউ নায়ক হিসেবে বের হয়ে আসেননি; না প্রিগোজিন, না পুতিন, না লুকাশেঙ্কো। কোনো নায়ক ছিল না।
‘এ থেকে শিক্ষাটা কী? আমরা যদি এ ধরনের সশস্ত্র সংগঠন তৈরি করি, তাহলে তাদের প্রতি নজর রাখা দরকার আমাদের। একই সঙ্গে তাদের প্রতি গভীর মনোযোগ দেয়া উচিত।’