ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের দখলকৃত জেনিন শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান। এতে এ পর্যন্ত ১০ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের এ অভিযানকে এক দশকের সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের নামে ইসরায়েল সোমবার থেকে হামলা শুরু করে।
শহরটিতে এক হাজার সেনা স্থল অভিযান চালাচ্ছে। সে সঙ্গে ড্রোন ও বিমান থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোমবার রাতে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার হামলা শুরু হয়।
এদিকে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও হাসপাতালগুলো। কিছুক্ষণ পর পরই আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে। চিকিৎসাধীন ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইসরায়েল বলছে, এখনও ১০টি লক্ষ্যে আঘাত হানা বাকি। ওই সব লক্ষ্য থেকে সশস্ত্ররা সরে না যাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিয়া আল কাইলা বলেন, `জেনিনের পরিস্থিতি খুবই ভয়াভহ। বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শরনার্থী শিবিরের পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে আহতদের জায়গা হচ্ছে না। অল্প কয়জন চিকিৎসক জরুরি সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছেন না।’
ঘনবসতির জেনিনে ইসরায়েলের সামরিক হামলায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সংস্থটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভারী অস্ত্রের ব্যবহার সমর্থনযোগ্য নয়। দুপক্ষকেই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানাই। কেউ যাতে হাসপাতালের মতো স্থাপনায় হামলা না করে।’
এদিকে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময় তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথক ও আতশবাজি নিক্ষেপ করে।
জবাবে ইসরায়েলি সেনারা স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে। এতে বিক্ষোভকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।