রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাগোষ্ঠী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান দলবল নিয়ে বেলারুশে অবস্থান করছেন। ব্যর্থ বিদ্রোহের পর সমঝোতার অংশ হিসেবে রাশিয়া ছেড়ে তারা বেলারুশে চলে যান। কিন্তু এতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।
ইউক্রেন ওয়াগনার গ্রুপের অবস্থান পরিবর্তনকে সন্দেহের চোখে দেখছে। আরও বড় ধরনের আকস্মিক হামলার সম্ভাবনায় জেলেনস্কির উত্তর সেনা ইউনিটের শক্তি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সেনাদল বেলারুশ সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
টেলিগ্রামের এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হলো কমান্ডার ইন-চিফ এবং উত্তর ইউনিটের কমান্ডার ওই দিকের (বেলারুশ সীমান্ত) শক্তি বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেবেন।’
ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর এক বৈঠকে বেলারুশ পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
এর আগে বেলারুশে ওয়াগনার গ্রুপের অবস্থান নিয়ে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোও শঙ্কা প্রকাশ করে।
পশ্চিমাদের সামরিক জোটটির মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘ন্যাটো জোট মস্কো বা মিনস্কের যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে।’
সতর্কতার সঙ্গে বেলারুশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি ওয়াগনার গ্রুপের একটি অংশের বেলারুশে স্থায়ী থেকে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
কারণ, ভবিষ্যতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে বেলারুশের আশপাশের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে ওয়াগনার বাহিনীর খুব সহজে হামলা শুরু করার সুযোগ থাকছে।
শনিবার ওয়াগনার গ্রুপ বিদ্রোহ করে। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন বিদ্রোহে ক্ষান্ত দেন।
সমঝোতা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দনের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে বেলারুশে চলে যান।