রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর জেনারেল হিসেবে পরিচিত সের্গেই সুরোভিকিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গুঞ্জন উঠেছে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এ সামরিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার থেকে তিনি অন্তরালে। পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়াগনার গ্রুপ বিদ্রোহ করে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন শহর দখলে নিলে ভিডিও বার্তা দেন সুরোভিকিন। তাতে তিনি ইয়েভগিনি প্রিগোজিনকে বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন।
এরপর থেকে কোনো দপ্তরে তার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কোভকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। সুরোভিকিনের সঙ্গে আসলেই কিছু ঘটেছে কি না এবং তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেব। এটা তাদের ব্যাপার।’
এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘পুতিন কি এখনও সুরোভিকিনকে বিশ্বাস করেন?’ জবাবে পেস্কোভ প্রসঙ্গ এড়িয়ে কৌশলি বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘তিনি কমান্ডার-ইন-চিফ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং জেনারেল স্টাফের প্রধানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি।’
সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযানের দায়িত্বে ছিলেন সুরোভিকিন। তিনি ওই যুদ্ধে আগ্রাসী কৌশলে আক্রমণ পরিচালনা করেন। হামলার কিছু দিনের মধ্যেই সিরিয়ার কয়েকটি শহর ধ্বংস্তূপে পরিণত করেন তিনি।
তখন রাশিয়ার গণমাধ্যমে তিনি ‘ভয়ংকর সাহসী’, সে সঙ্গে নিষ্ঠুর কমান্ডার জেনারেল হিসেবে পরিচিতি পান।
পরে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথমভাগে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানেও বীরত্বপূর্ণ কৌশলে যুদ্ধ এগিয়ে নিচ্ছিলেন সুরোভিকিন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই তাকে আকস্মিক আদেশে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
এরপর যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া জেনারেলদের সঙ্গে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
দ্বন্দ্ব বিদ্রোহে রূপ নিলে সুরোভিকিনের সঙ্গে ওয়াগনারের গোপন সম্পর্ক থাকা নিয়ে গুঞ্জন উঠে।